Subscribe:

Monday, February 27, 2012

কুলাউড়ায় নতুন খনন করা গ্যাস কূপ থেকে ২ কোটি ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত

 বরমচাল-ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাস ক্ষেত্রের ৪ নম্বর কূপটি খনন করা হয়েছে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের বরমচাল গ্রামে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্রোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) সালদা-ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন শুক্রবার সকালে জানান, ২২ ফেব্রুয়ারী বুধবার বিকেল ৩ টায় কুলাউড়ার বরমচাল ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র নতুন খনন করা  ৪  নম্বর কূপ থেকে ২ কোটি ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হয়েছে। ফেঞ্চুগঞ্জের গ্যাস বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বুধবার দুপুর ৩ টায় এই উত্তোলন শুরু করা হয়।  আর এতে করে বরমচাল-ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাস কুপ থেকে জাতীয় গ্রীডে সাড়ে ৪ কোটি ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হলো। বরমচাল ফেঞ্চুগঞ্চ গ্যাস কূপ প্রজেক্টের পিডি মোঃ শাহাবুদ্দিন ও  ইনচার্জ মোঃ হাসানুজ্জামান জানান, ইতিমধ্যে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তাতে ফেঞ্চুগঞ্জ একটি সমৃদ্ধ গ্যাসক্ষেত্র বলেই মনে হচ্ছে। তিনি জানান, ৪ নম্বর কূপটি খননের সময় গত জুন মাসে এটির তিনটি আলাদা স্তরে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। তিনটি স্তরই সমৃদ্ধ। এর মধ্যে দুই হাজার ২০৮ থেকে দুই হাজার ২৪৯ মিটার গভীরের স্তরটি থেকে উত্তোলন শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ২ কোটি ঘনফুট (২০ মিলিয়ন) ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেছে। ভবিষ্যতে এখান থেকে দৈনিক সাড়ে তিন থেকে চার কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে কর্তৃপক্ষ আশা করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাস ক্ষেত্র ২ ও ৩ নম্বর কূপ থেকে দৈনিক প্রায় আড়াই কোটি ঘনফুট করে গ্যাস উত্তোলন অব্যাহত আছে। যে স্তর থেকে ওই দুটি কূপের গ্যাস আসছে, নতুন কূপটি খননের সময় সেই স্তর ছাড়াও তিন-চারটি নতুন স্তরে গ্যাস পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক হাজার ৪৩২ থেকে এক হাজার ৪৫০ মিটার গভীরতায় ১৮ মিটার পুরু একটি গ্যাস স্তর রয়েছে। আরও দুটি স্তর রয়েছে দুই হাজার থেকে দুই হাজার ৮০ মিটার গভীরতার মধ্যে। আর যে স্তরটি থেকে উত্তোলন শুরু করা হয়েছে, সেটি দুই হাজার ২০৮ থেকে দুই হাজার ২৪৮ মিটার গভীরতায়।

Know About Kulaura Upozilla.